আজ শনিবার, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লকডাউনে বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে  নারায়ণগঞ্জ । বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলার এলাকাগুলো। শহরে লকডাউনের বিগতদিন গুলোতে মানুষের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও রবিবার সকাল থেকে ছিলো উপচেপড়া ভীড়। নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতাও। লকডাউনের বেহাল দশার জন্য করোনারভাইরাসে ভয়াবহতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্ব্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন মার্কেট দোকান খুলে বসেছে বিক্রেতার। ইফতারের নানা রকম পণ্য বিক্রির হিরিক পড়ে গেছে ২ নম্বর গেট এলাকায়। খোলা রয়েছে কাপড় ও জুতার মার্কেট। শহরের দিগু বাবুর বাজারে একাধিকবার অভিযান করেও জনসামগম কমাতে পারেননি প্রশাসন। মাহে রমজান কে ঘিঁড়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পরস্পরের স্পর্শে চলছে বেচাকেনা।
লকডাউনের বেহাল দশা উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জনসামগম একেবারে বন্ধ করা যায়নি। বাজার থেকে শুরু করে রাস্তায় প্রতিনিয়ত মানুষ চলা ফেরা করছে। সামাজিক দুরত্ব না থাকায় এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় দূত ছড়িয়ে পরছে করোনাভাইরাস। এর মধ্যে অনেক কলকারখানা চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এখন সময় আছে প্রশাসন যদি কঠোর হতে না পারে তাহলে নারায়ণগঞ্জে মহামারি সৃষ্টি হবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদচর্চাকে জানান, করোনায় পুলিশের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের মানুষ অসচেতন। তারা লকডাউন অপেক্ষা করে বাাড়ি থেকে বের হয়।

তিনি বলেন, রমজানের জন্য পুলিশ মানবিক আচরন করছে। তবে লকডাউন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।